আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনের দায়িত্ব পালনের মূল্যায়নে নিজেকে ১০-এর মধ্যে ৪ দেবেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’।
আসিফ নজরুল বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতায় হয়তো ঘাটতি আছে, কিন্তু আমার প্রচেষ্টায় কোনো ঘাটতি নেই। আমি আমার কাজে কখনোই সন্তুষ্ট নই এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দায়িত্ব পালন কঠিন হলেও তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আইন উপদেষ্টা তার মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো, ছাত্র-জনতার আন্দোলন সংক্রান্ত মামলা প্রত্যাহার, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে দায়ের করা প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা আইনকে প্রতিস্থাপন করে প্রস্তাবিত ‘সাইবার সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের কাজ চলছে। এতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে যারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তাদের প্রতিকার সহজ হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১সহ বেশ কিছু আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য সংশোধনী আনার কাজ চলছে। এসব সংশোধনী আগামীকাল উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য বিধিমালা তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া নিম্ন আদালতের অধিকাংশ বিচারক ইতোমধ্যে তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও শিগগির তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেবেন।
আইন উপদেষ্টা আন্দোলন চালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে যানজট তৈরি করার বিষয়ে কঠোর অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে বলেন, “ওভারনাইট কোনো কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানানো বা পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে গেলেই সমালোচনা শুরু হয়।”
ড. আসিফ নজরুল স্বীকার করেছেন যে, মন্ত্রণালয়ের কাজ পুরোপুরি সন্তোষজনক না হলেও সরকার বিভিন্ন দিক থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জনকল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যেতে তিনি বদ্ধপরিকর।