জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-চেকিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম-খুনে ও নির্যাতনে সীমা ছাড়িয়েছে।
তারা আরও বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ৫ মে ও চব্বিশের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এ দেশের সরকার ও জনগণকে শান্তিতে থাকতে দেবে না।
তারা অভিযোগ করেন, ছাত্র নেতৃত্ব ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চলছে। কালচারাল ঘরানার ফ্যাসিবাদপন্থী আওয়ামী লোকজন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলোর মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তারা বলেন, ভারত এখনো শত্রুরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে এবং হাসিনা-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারছে না। বরং ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ষড়যন্ত্রের সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। তাই গুম-খুন ও গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
তারা দাবি করেন, বিভিন্ন বাহিনীতে হাসিনার অনুগত চিহ্নিত দোসরদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই গণ-অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব সুরক্ষিত হবে বলে তারা মনে করেন।