ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন আবার শুরু হয়েছে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গত শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় প্রথম ইউনিট পুনরায় চালু হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বড় একটি অংশ জোগান দেয়। কেন্দ্রটির দুইটি ইউনিটের প্রত্যেকটির উৎপাদন সক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে, মোট ১,৬০০ মেগাওয়াট। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রথম ইউনিট থেকে ৭৩৮ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৩৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (পিজিসিবি) ও আদানি গ্রুপ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট এবং ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়নি, ফলে দেশব্যাপী লোডশেডিং দেখা দেয়।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাধারণত সর্বোচ্চ ১,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পায় বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে প্রথম ইউনিট বন্ধ থাকার পরও দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল, যা ১১ এপ্রিল রাত থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, “বিকেল থেকে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার পর আদানির কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বেড়েছে। সন্ধ্যায় এটি থেকে প্রায় ১,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।” এতে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে স্বস্তি ফিরেছে।
আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন চালু হওয়ায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকট অনেকটাই কমেছে। তবে বারবার যান্ত্রিক ত্রুটিতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ভবিষ্যতে এমন সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।