দেশের কোল্ড স্টোরেজগুলোতে মজুত থাকা আলু দ্রুত বাজারে ছাড়ার দাবি জানিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক বেসরকারি সংগঠন কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)। গতকাল মঙ্গলবার কাওরান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন সিসিএসের স্বেচ্ছাসেবীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অসাধু ব্যবসায়ীরা গত এক মাস ধরে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তাদের জিম্মি করে রেখেছে। তারা ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ১৮-২০ টাকা কেজি দরে আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করেছে। এতে প্রতি কেজির মোট খরচ দাঁড়িয়েছে ২১-২৫ টাকার মধ্যে। অথচ বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৭০-৭৫ টাকা, যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক।
এ পরিস্থিতিতে অবৈধ মজুতদার, মধ্যস্বত্বভোগী এবং কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছে সিসিএস। স্মারকলিপির সঙ্গে বিভাগ ও জেলাভিত্তিক কোল্ড স্টোরেজের তালিকা এবং অবৈধ মুনাফাখোরদের তথ্যও দেওয়া হয়েছে।
আলুর বাজার স্থিতিশীল রাখতে আজ বুধবার থেকে রাজধানীতে ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন।
টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, টিসিবির অন্যান্য পণ্য বিক্রির সঙ্গে আলুও যুক্ত করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় কাওরান বাজারস্থ টিসিবি ভবনের সামনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সিসিএসের দাবি, ভোক্তা অধিদপ্তর দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে ভোক্তা সাধারণ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশের কোল্ড স্টোরেজে মজুত থাকা আলু দ্রুত বাজারে ছাড়া এবং অসাধু মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া—এটাই এখন সময়ের দাবি।