দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান চালিয়েছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী। এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে ড্রোন, হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইয়েমেনি বাহিনী ইসরাইলি দখলকৃত ভূখণ্ডে লক্ষ্য করে একযোগে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা ইসরাইলের আশদোদের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। দ্বিতীয়টি ছিল ‘জুলফিকার’ নামের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার লক্ষ্য ছিল ইয়াফা অঞ্চলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
এছাড়াও, ড্রোনের মাধ্যমে দখলকৃত আশকেলন শহরের একটি কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালানো হয়, যা সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইয়াহিয়া সারি।
তিনি বলেন, “ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুর ঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।”
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো হামলার সময় সাইরেন বেজে ওঠার খবর দিলেও এখন পর্যন্ত দেশটির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বা হতাহতের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এই হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করলো বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।