ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চট্টগ্রামের তিনটি শাখা থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম। একই মামলায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরও সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুদকে হাজির হওয়া ছয় কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন, সুনির্বাণ বড়ুয়া, যুগ্ম পরিচালক, পরিদর্শন বিভাগ, অনিক তালুকদার, যুগ্ম পরিচালক, শংকর কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত পরিচালক, ছলিমা বেগম, অতিরিক্ত পরিচালক, মো. জুবাইর হোসেন, উপ-পরিচালক, রুবেল চৌধুরী, উপ-পরিচালক
বৃহস্পতিবার হাজির হওয়ার জন্য তলব করা কর্মকর্তারা হলেন, সৈয়দ মু. আরিফ-উন-নবী, যুগ্ম পরিচালক, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক, মো. শোয়েব চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচালক, মো. মঞ্জুর হোসেন খান, অতিরিক্ত পরিচালক, মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পরিচালক, লেনিন আজাদ পলাশ, উপ-পরিচালক, মো. সরোয়ার হোসাইন, পরিচালক।
অনুসন্ধান অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাকতাই, জুবলি রোড এবং খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহকরা ঋণের নামে প্রায় হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। অভিযুক্ত গ্রাহকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, চাকতাই শাখা, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, জুবলি রোড শাখা, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস, খাতুনগঞ্জ শাখা।
জানা যায়, এই গ্রাহকরা ঋণের অর্থ ব্যবহার না করে তা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন ও মনিটরিং বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গত ১১ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা ইয়াছির আরাফাত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বরাবর চিঠি পাঠিয়ে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
চিঠিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্যসহ তাদের পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
দুদকের তদন্ত টিম আজ এবং আগামীকাল জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধারে কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক একযোগে কাজ করছে। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি তুলেছে বিশেষজ্ঞরা।