একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করে বাংলাভাষার জন্য আত্মত্যাগী বীর ভাষাশহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
আজ সকালে জামালপুর শহরের বাস টার্মিনাল থেকে এসপি অফিস পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ছাড়া প্রধান সড়কের দুই পাশে শতকরা ৮০ ভাগ ভবন, দোকানপাট, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। যেগুলো উত্তোলন করা হয়েছে, তার মধ্যেও বেশিরভাগ সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেনি।
শহরের স্টেশন বাজার মোড়ে একটি উঁচু ভবনে জাতীয় পতাকা মাথানত করে উড়ানো হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার হওয়ায় বেশিরভাগ দোকানপাট ও সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ছিল। এটি এক কারণ হতে পারে। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের প্রভাবও জাতীয় দিবস উদযাপনে দেখা যায় কি না, সেটিও চিন্তার বিষয়।
জাতীয় দিবসের আগের দিনই সরকারের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সঠিক মাপে ও নিয়মে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপরও জাতীয় পতাকা উত্তোলনে নাগরিকদের অনীহা হতাশাজনক। মাতৃভূমির প্রতীক জাতীয় পতাকার প্রতি নাগরিকদের দরদ রয়েছে, তবে তা আরও সুসংহতভাবে প্রকাশ করা জরুরি।