এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৯৭টি সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ হাজার ২১৬ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ১ হাজার ৬ বিঘা জমি, যা ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত।
সোমবার (১০ মার্চ) দুদকের পক্ষে উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক এসব সম্পত্তি জব্দের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রোকের আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তদন্ত চলছে। তদন্তে দেখা গেছে, তারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অনিয়মিতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এছাড়া, তারা এসব সম্পদ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে যদি এসব সম্পদ স্থানান্তরিত হয়ে যায়, তাহলে তা উদ্ধার করা কঠিন হবে। তাই, সম্পদ অবিলম্বে ক্রোক করা জরুরি বলে দুদক উল্লেখ করেছে।
এর আগে নেওয়া আদালতের পদক্ষেপ, ৭ অক্টোবর: এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। ১৬ জানুয়ারি: ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ। ৩ ফেব্রুয়ারি: ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ জব্দের নির্দেশ। ১২ ফেব্রুয়ারি: ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ, যার মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। ২৩ ফেব্রুয়ারি: ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ।
দুদকের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সম্পদ সংক্রান্ত কার্যক্রম আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।