প্রায় তিন(০৩) দশকের সংসার জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন এ আর রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু, এ আর রহমানের স্ত্রীর আইনজীবী বন্দনা শাহ ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে সায়রা বানু ও এ আর রহমানের দম্পতির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান এবং তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। এ আর রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু তাদের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও, এই দম্পতি খেয়াল করেছেন যে তাদের মধ্যে অনেক ব্যবধান ও দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যা এই মুহুর্তে কোনো পক্ষই পূরণ করতে অক্ষম বলে মনে করছেন তারা।
মিসেস সায়রা বানু জানান, এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া তার পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা এবং মানসিক চাপে থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
১৯৯৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই দম্পতি। তাদের তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও এবং আমিন। এর আগে, সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রহমান স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, তার ও স্ত্রী সায়রার বানুর মধ্যে বেশকিছু সাংস্কৃতিক মত পার্থক্য রয়েছে। যদিও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তারা বিষয়টি সামলে চলেন বলেও জানিয়েছিলেন রহমান।
এ আর রহমান এও জানিয়েছিলেন যে, সায়রা বানু তার পছন্দ ছিলেন না। তবে সে সময় তিনিও বিয়ের জন্য মেয়েও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অগত্যা তার যখন ২৯ বছর বয়স, তখন সংগীতশিল্পী তার মাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন পাত্রী খুঁজে দেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় রহমানের। সেই বিয়ের ২৯ বছর পর সম্পর্কের ইতি টানলেন এ আর রহমান ও সায়রা বানু।