কুরিগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম ওফাৎ দিবস উপলক্ষে ওরশ শরিফ অনুষ্ঠিত হয়।গতকাল ১৭ নভেম্বর রবিবার এই ওরশ শরিফ অনুষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যে হাল্কা জিকির ওয়াজ মাহ্ফিল ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর কয়েক হাজার ভক্তবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর কর্ম জীবনি নিয়ে নানাবিদ আলোচনা ও হালকা জিকিরের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি মুখরিত করে তুলেন। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালেের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার সয়াধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সব চেয়ে ছোট ছিলেন তিনি।তাঁর ডাকনাম ছিল ছেগা মিয়া, বাবার নাম ছিল হাজী শরাফত আলী খান ও মাতা মজিরন নেছা।শৈশবে তিনি পিতৃ মাতৃ হীন অবস্থায়, তাঁর চাচা ইব্রাহিম খানের আশ্রয় ছিলেন। অতঃপর তিনি সুফি সাধক নমিরুদ্দিন বোগদাদী (রঃ) এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। এবং তাঁর সহচর্যে ১৮৯৭ সালে সর্ব প্রথম তিনি আসাম গমন করেন।
১৯২৪ মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আসামের ভাসান চরে এক কৃষক জনসভার অনুষ্ঠান করেন এবং সেখান থেকেই তিনি ভাসানী উপাধি লাভ করেন
এই ওরশ শরিফ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওনানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি মোঃ মনির খান ভাসানীর উফাৎ দিবসের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতি বছর শ্রদ্ধার সাথে আমরা এই দিন টি পালন করে অসছি। বাড়ির সামনের এই পুকুর টি ভক্তগনকে সাথে নিয়ে আমার দাদু নিজের হাতে মাটি কেটে খনন করেছেন।আমার দাদু অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন, যার নির্দশন আজও বহন করছে, বাড়ির বাহির আঙ্গিনার দরবার শরিফ মুসাফির খানায় দাদুর ব্যাবহৃত একটি হাতল চেয়ার, একটি সিন্দুক ও একটি খাট। দাদুর সাধামাটা জীবনের এই চিহ্ন গুলি দেখে ভক্তগন অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে দাদুকে স্বরণ করে।ভক্তগন যাতে দাদুর সঙ্গে দাদীমাকেও স্বরণ রাখে, সেইজন্য আট বিঘা জমি দান করার মধ্যমে ১৯৬৭ সালে দাদীমার নামে এই এলাকায়(হামিদা খানম)নামক একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। যা বাংলাদেশের একটি খ্যাতনামা বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত। তার কাছে মুশাফির খানার পার্শ্বের মাজার শরিফ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা মুশা ফকিরের মাজার, উনি দাদুর একান্ত ভক্ত ছিলেন,তাই তাকে এখানেই সমাধিত করা হয়েছিল। এই ওরশ শরিফ অনুষ্ঠানে অনেক অর্থের প্রয়োজন,কিন্তু সরকারি সাহায্য আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।তিনি আরো জানান দাদুর এই ওফাত দিবস আরো উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে প্রতিবছর যেন ধুমধামে শহীদ পালন করতে পারি সে তৌফিক যেন আল্লাহ্ আমাদের দান করেন।
উফাৎ দিবসে বিশেষ আলোচনা করেন,মো:আব্দুর রাজ্জাক পিডি বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন।চেয়ারম্যান কাদ্রীয়া ফাউন্ডেশন ।