সরকারের সমালোচনায় নিহিত রয়েছে একটি দেশের সুসংহত গণতন্ত্রের। কিন্তু আদৌ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সরকারের সমালোচনা খোদ সরকারই বা কতটুকু সহ্য করতে পারে? সরকারের সমর্থনকারীরাও যেন বেপরোয়া হয়ে যায়! সে বিষয় এদেশে আপামর জনসাধারণ খুব ভালোভাবে ওয়াকিবহাল আছে দেশ স্বাধীন হবার ৫৩ বছরের ইতিহাসে।
বিশ্বের যেকোন উন্নত রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে সুসংহত গণতন্ত্র অর্থাৎ সমালোচনা করার অধিকার বিশেষ করে সরকারের সমালোচনা করার অধিকার- বাক স্বাধীনতা। সাংবাদিকতা-সাধারন পাঠকের প্রতিক্রিয়া-কলামিষ্টের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে আগামীর পথচলার কৌশলগত দিক নির্দেশনা দেয়। আমরা তা ভালোভাবে জেনেও দেশকে সিংগাপুর-আমেরিকা বানিয়ে ফেলি,আমাদের দেশকে উম্নত দেশ অনুসরণ করবে বলে বড় বড় হাঁকডাক করি কিন্তু সিংগাপুর আমেরিকার মতোন বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করিনা। জনগনের বাক স্বাধীনতায় যে সমালোচনা উঠে আসে সাংবাদিকদের কলমে গণমাধ্যমে তাঁকে যে রাষ্ট্র শ্রদ্ধা করেছে তারাই আজ বিশ্বমোড়ল। বিশ্বমোড়লরা তাবত দুনিয়ার মানবাধিকার লুন্ঠন করেও নিজ দেশের বাক স্বাধীনতায় যে শ্রদ্ধাবোধ জানায় তা মুগ্ধ করে যেন তাদের শত্রুকেও! তাঁদের এই অভ্যন্তরীণ ভদ্রতা পৃথিবীর বিবেককে নাড়িয়ে দেয়।কিন্তু আমাদের দেশকে নাড়াতে দেয়নি বিগত স্বৈরশাসক আর বর্তমানের সাম্প্রতিক উপলব্ধিতা!
সম্প্রতী, তিনজন ইজরায়েলীর মুক্তির বিনিময়ে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনির মুক্তির মতোন কত বড় ত্যাগ জনগনের বাক স্বাধীনতায়- সমালোচনায় শ্রদ্ধার প্রমান জানিয়ে ইসরায়েল মেনে নিলো! কত বড় মাইন্কা চিপায় পড়লে বিশ্বের ক্ষমতাধরাও তিনজন সেনাবন্দীকেও দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করতে দিতে পারেনা! আর আমার দেশে ক্ষমতার জন্য সব সাফ করে দিতে কারো দ্বিধাবোধ করেনা! বয়স্ক সাবেক প্রধানমন্ত্রীকেও জেলে পূড়ে রাখতে হয় বারবার কটাক্ষ করা হয়! জনমতের প্রতি কোন শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে সাংবাদিকদতা বা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস না করলে -চরিত্রে ধারণ না করলে পতন কত ভয়াবহ হয় তার উপলব্ধিতা কিন্তু সরাইকে করিয়েছে কিন্তু ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না সেটিই এক করুন ইতিহাস।
আজকালকার গনমাধ্যমগুলোতে যেন অনেকেই লেখা ভুলে গেছে! গণমাধ্যমের স্বাদ-আগ্রহ-আশা যেন ভয়ানকভাবে অসহ্য হয়ে উঠছে! ঠিক যেন এরচেয়ে আর বেশী ভয়ানক না হয় যেন সমালোচনা বন্ধই হয়ে না যায় যেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের মতো বাক স্বাধীনতায় আঘাতের পুনরাবৃত্তি না ঘটে আর যেন তেলবাজিতে পূর্ণ না হয়ে নতুন কোন স্বৈরাচারের ইতিহাস না রচিত হয়-সে উপলব্ধিতেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম গত ৫ ই আগষ্টের পর বললেন সেই মহান উপলব্ধিতায়পূর্ণ বাণী,"সরকারের সমালোচনা করা যায় এমন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে হবে"!
গত ৫ ই আগষ্টের পর এক নতুন অভিজ্ঞতার ভয়ার্ত ব্যথায় চুপ থাকতে দেখছি অনেক সাংবাদিককে! যাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করলেই আঁতকে ওঠেন কোন অদৃশ্য ইশারার ভয়ে!
সেই সমালোচনা বা সরকারের সমালোচনা করার ভয় কাটিয়ে উঠতে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের উক্তি কতটা সরকারের সমালোচনায় মুখরিত করবে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রকে সেটিই দেখার বিষয় বলে সচেতনমহল মনে করছেন।