গাজীপুরের টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় এক যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাহিনুর আলম পূর্ণ (৩১), বগুড়া জেলার শেরপুর থানার উলিপুর নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নাজমুল ইসলাম (২৩), জামালপুর জেলা সদরের জামিরা গ্রামের বাসিন্দা। শান্তা আক্তার (৩৫), ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার অলহরি গ্রামের বাসিন্দা।
পূর্ণ ও নাজমুল গাজীপুরের গাছা থানার কলমেশ্বর এলাকায় বসবাস করতেন। শান্তা আক্তার টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার সাইদ মৃধা রোডের একটি ১০ তলা ভবনের ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভুক্তভোগী গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় বসবাস করেন এবং গার্মেন্টে চাকরি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিযুক্ত পূর্ণের পরিচয় হয় দেড় বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে। তাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথাবার্তা হতো এবং পূর্ণ তাকে গার্মেন্টে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখাতেন।
গত ১২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে পূর্ণ ও নাজমুল ভুক্তভোগীর সঙ্গে গাছা থানাধীন বড়বাড়ি এলাকায় দেখা করেন। তারা তাকে কথার কথা বলে টঙ্গীর দত্তপাড়ায় শান্তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে শান্তার সহযোগিতায় পূর্ণ ও নাজমুল পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যান।
শুক্রবার ভুক্তভোগী তিনজনকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ শনিবার ভোরে পূর্ণ ও নাজমুলকে বড়বাড়ি এলাকা থেকে এবং শান্তাকে দত্তপাড়া থেকে গ্রেফতার করে।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কায়সার আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এই ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।