গাজীপুরের পানিশাইল এলাকায় একাধিক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষোভ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জিরানি বাজারের কাছে অবস্থিত অ্যামাজন নিট ওয়্যার কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন।
শ্রমিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১ নভেম্বর থেকে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। গতকাল রোববার কারখানা খোলার পর দুপুরে ছুটি দেওয়া হলেও আজ সকালে শ্রমিকরা দেখতে পান, নতুন করে কারখানা বন্ধ রাখার নোটিশ সাঁটানো হয়েছে। এই নোটিশের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। একই সময়ে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা পৃথকভাবে সড়ক অবরোধ করেন।
পরে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন, যারা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা পানিশাইল ও কলতাসুতি এলাকার লোকজনকেও মারধর করেন, যার ফলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। এতে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
এই পরিস্থিতিতে, ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা অ্যামাজন নিট ওয়্যার কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হানিফ জানিয়েছেন, শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়েছেন এবং কারখানায় আগুন ধরার বিষয়টি জানেন। তবে এক ঘণ্টা হয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিভাতে সক্ষম হয়নি।
এদিকে, গত দুই দিন ধরে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন, যার ফলে অন্তত ২০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এখনও শান্ত হয়নি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।