স্থানীয় পর্যায়ে গুজব ও অপতথ্য রোধে জেলা তথ্য অফিসসমূহকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। একই সঙ্গে স্থানীয় জনগণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচারে জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “জনসচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে জেলা তথ্য অফিসগুলোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, সাংবাদিক এবং নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”
তিনি জেলা তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, এতে তথ্য সংরক্ষণ ও প্রচার আরও কার্যকর হবে।
মাহফুজ আলম আরও বলেন, “তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে তথ্য কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান জরুরি।”
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, “জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বাড়াতে হবে। গুজব ও অপতথ্য মোকাবেলায় তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে।”
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক বলেন, “জেলা তথ্য অফিসগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রচারে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তবে প্রচারের মান উন্নয়নে ডিজিটাল ডিসপ্লে-যুক্ত সিনেমাভ্যান সরবরাহের প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি বিভাগীয় তথ্য অফিস ও উপজেলা তথ্য অফিস স্থাপনের প্রস্তাবও দেন।
ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন—
প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক আবেদ নোমানী
সাবেক সচিব সৈয়দ সুজা উদ্দিন আহমেদ
সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবু আব্দুল্লাহ
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান
ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আলোচনায় প্রচার কার্যক্রমের আধুনিকায়ন, গুজব প্রতিরোধে করণীয়, এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধির রূপরেখা তৈরি হয়।