বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান গতকাল বুধবার সচিবালয়ে গ্যাস সিস্টেম লস হ্রাস সংক্রান্ত এক সভায় গ্যাস সংযোগ প্রদান এবং লোডবৃদ্ধি বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রথমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হবে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইপিজেড এবং বিসিক শিল্পনগরীকে। এছাড়া, যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান গ্যাস পেয়েছে এবং উৎপাদনে যেতে প্রস্তুত, তাদের আগামী সপ্তাহের মধ্যে লোডবৃদ্ধি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) নির্ধারিত ট্যারিফের আওতায় পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল এবং এর বাইরের রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় থেকে এর জন্য নতুন পরিপত্র জারি করা হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্যাস সংযোগ দ্রুত কার্যকর করা এবং রাজস্ব বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।
সভায় উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আগামী ৩১ মে’র মধ্যে গ্যাস পাইপলাইনের সকল লিকেজ মেরামত নিশ্চিত করতে হবে। বিইআরসি’র তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে গ্যাস সিস্টেম লস আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে, যা উদ্বেগজনক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাস সিস্টেম লস ছিল ৮.৪৩ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বেড়ে ১৩.৫৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিইআরসি ইতোমধ্যে সিস্টেম লস ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছে, যা আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজার ৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে, যার ফলস্বরূপ ৯ হাজার ৩৮৪টি ছিদ্র পাওয়া গেছে। গ্যাস কোম্পানিগুলি সেই লিকেজগুলো মেরামত করেছে। যেমন, জিটিসিএল, জালালাবাদ, বাখরাবাদ ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লিকেজ মেরামত করা হয়েছে।