জমালপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর কবির, যিনি ‘হোয়াইট (বাবু)’ নামেও পরিচিত, তিনি নারী ব্যবহার করে প্রকৌশলীকে প্রভাবিত করে ঘুষ আদায়ের এক ভয়াবহ চক্র গড়ে তুলেছেন।
জানা যায়, হোয়াইট বাবু নিজের অবস্থানকে পুঁজি করে অল্প সময়ের মধ্যেই কোটিপতি বনে গেছেন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। এই ঘুষ বাণিজ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহারই ছিল তার ‘সাফল্যের’ মূল ভিত্তি। এমনকি সাংবাদিকদেরও অর্থের লোভ দেখিয়ে ম্যানেজ করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি।
একটি সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইট বাবু জামালপুর জেলা বিএনপির এক নেতার আপন ভাগিনার মাধ্যমে একজন সংবাদকর্মীকে চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছিলেন এবং তার প্রাণনাশেরও চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে সংবাদকর্মী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় অনেকেই বলছেন, “সত্যকে মিথ্যায় ঢেকে রাখার চেষ্টা ছিল তার পেশা।” তিনি বুঝতে পারেননি, সত্য কখনো দীর্ঘদিন চাপা থাকে না। মানুষ একদিন না একদিন তার মুখোশ খুলে ফেলবেই।
জেলার সাধারণ মানুষ এমন একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার দাপট আর সহ্য করতে চায় না। তারা চায়, প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করুক।
শেষ কথা—সৃষ্টিকর্তার বিচার থেকে কেউ রেহাই পায় না। হোয়াইট বাবু হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন, তাঁর ঊর্ধ্বে আরেকজন রয়েছেন, যিনি সবকিছু দেখছেন।