জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সহায়তা কমাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের অধীনে চলমান শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অর্থায়নে কৌশলগত পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বাজেট দপ্তর অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (OMB) এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এটি একটি প্রস্তাবনা মাত্র, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।” তিনি জানান, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর প্রায় ৯৩০ কোটি ডলার ব্যয় করে। এর মধ্যে ৩৭০ কোটি ডলার মূল বাজেট এবং ৫৬০ কোটি ডলার শান্তিরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বাজেট বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ২২ শতাংশ ও ২৭ শতাংশ যথাক্রমে।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্প সরকার এই বাজেট থেকে ২১০ কোটি ডলার কমানোর পরিকল্পনা করছে। এই কেটে রাখা অর্থ দিয়ে ‘আমেরিকা ফার্স্ট অপরচুনিটিজ ফান্ড (A1OF)’ নামে নতুন একটি তহবিল গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই তহবিলের অর্থ সীমিত পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও অংশীদার রাষ্ট্রগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে ব্যবহার করা হবে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন বর্তমানে ৯টি দেশ ও অঞ্চলে সক্রিয়। এর মধ্যে রয়েছে, মালি, লেবানন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান, পশ্চিম সাহারা, সাইপ্রাস, কসোভো, গোলান হাইটস (ইসরাইল ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চল), আবেই (সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যবর্তী অঞ্চল)।
এই দেশগুলোর মিশনের যাবতীয় ব্যয় বহন করে জাতিসংঘ।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। প্রস্তাবটি কংগ্রেসে পাঠানো হবে এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেট উভয় কক্ষের অনুমোদন পেলেই এটি কার্যকর হবে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক এ প্রসঙ্গে বলেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন পর্যন্ত আমাদের এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।”