জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবার অবদানকে সম্মান জানিয়ে একটি জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে এবি পার্টি। দলটি উল্লেখ করেছে যে জাতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ, যেমন পলাশীর যুদ্ধ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা, পাকিস্তান রাষ্ট্র নির্মাণ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান, এবং চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান—এগুলোকে ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকটি পরিচালনা করেন। বৈঠক শেষে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ জানান, বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মতামত এসেছে যে তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। একটি কমিশন গঠন করে সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা উচিত। এই ঘোষণাপত্রে জাতীয় আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হবে।
তিনি বলেন, “ঘোষণাপত্রে শত শত বছরের লড়াইয়ের ইতিহাস—পলাশী, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা, পাকিস্তান রাষ্ট্র নির্মাণ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান—সব কিছু তুলে ধরা উচিত।”
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের অবদান যেমন স্বীকার করতে হবে, তেমনি গত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আত্মত্যাগও সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে। প্রবাসী ভাই-বোনদের অবদানও ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোনো অবদানকে যেন ছোট করে দেখা না হয়।”
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা প্রস্তাব দেন যে সরকারকে একটি সমন্বিত ঘোষণাপত্র জাতির উদ্দেশে প্রকাশ করতে হবে, যাতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাগুলোসহ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের প্রতিফলন থাকবে।