কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬৯টি হাতবোমা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ দুইজনকে আটক করেছে বিজিবি। পরে তাদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে কিছু দুষ্কৃতকারী দেশীয় বোমা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে আনুমানিক রাত ৩টার দিকে বিজিবির একটি চৌকস আভিযানিক দল এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং অভিযান পরিচালনা করে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টার অভিযান শেষে একটি জরাজীর্ণ বাড়ির পরিত্যক্ত অংশ থেকে ৬৯টি হাতবোমা, ১.৬ কেজি সালফার, ১.৩ কেজি লালা, ৩১টি জর্দার কৌটা, ২২০ গ্রাম গুনা তার এবং ১টি প্লাস উদ্ধার করা হয়। অভিযানে দুইজন দুষ্কৃতকারীকে আটক করা সম্ভব হলেও আরও দুইজন পালিয়ে যায়।
আটকরা হলেন- চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার নবুরকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. সম্রাট প্রধান (৩৩) এবং নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার দক্ষিণ গারমোরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. অন্তর (৩২)। বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছে যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য এবং চুক্তিভিত্তিক বোমা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি ও সরবরাহ করত। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এসব বোমা তৈরি করা হচ্ছিল।
বিজিবি জানায়, আটক ও জব্দকৃত বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকের ভূমিকা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।