বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা দুই ট্রাক ভর্তি কাগজপত্র আটক করেছেন, যা তারা সন্দেহ করেছিলেন সচিবালয়ের গোপন নথি। তবে পরবর্তীতে পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, ট্রাকগুলিতে সচিবালয়ের কোনো গোপন নথি ছিল না, বরং তা ছিল বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পুরোনো কাগজপত্র।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, ট্রাক দুটি পুরোনো কাগজপত্র এবং অফিসের ভেঙে যাওয়া কাঠের আসবাবের কিছু মালামাল ময়লাখোলায় পাঠানো হয়েছিল। এসব মালামাল পুড়িয়ে ফেলা উদ্দেশ্যে কাউনিয়া এলাকার একটি স্থানান্তর কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ট্রাক চালকরা এসব মালামাল বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন, যার কারণে তাদের সন্দেহজনক আচরণে স্থানীয়রা এগুলো আটক করেন।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে, যখন স্থানীয়রা ট্রাক দুটি আটক করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পরিষ্কার করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি লিখিত বিবরণী প্রদান করে ট্রাক দুটি ফের তাদের জিম্মায় নিয়ে আসেন।
কাউনিয়া থানার পুলিশ সদস্যরা, উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, "এটি একটি বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি ছিল, তবে সঠিক তদন্তে পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে গেছে।"
চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম বলেন, "শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাক দুটি এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল, এবং বিপুল পরিমাণ অফিসিয়াল কাগজ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এর পরেই তারা ট্রাক দুটি আটক করেন।"
অবশেষে, কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং ট্রাক দুটি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দখলে চলে আসে।