যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৭ লাখ ৪১ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) লন্ডন হাইকোর্ট এক চূড়ান্ত রায়ে এ নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-সিক্সটিনের (MI6) সাবেক কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার স্টিল ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে একটি প্রবন্ধ লেখেন, যেখানে তিনি দাবি করেন যে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় জয়লাভ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া, ট্রাম্পের ২০১৩ সালের মস্কো সফরে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি’র সঙ্গে তার ‘সমঝোতা’ হয় বলেও প্রবন্ধে উল্লেখ ছিল।
প্রবন্ধে ট্রাম্পের অতীত জীবনের কিছু কথিত যৌন অসদাচরণের বিষয়ও প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল, যেগুলো ট্রাম্প পুরোপুরি অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন, সব তথ্যই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এরই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের তথ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় স্টিলের মালিকানাধীন ‘অরবিস বিজনেস ইন্টেলিজেন্স’ নামের কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাম্প। যদিও কোম্পানি শুরু থেকেই জানিয়ে আসছিল, প্রবন্ধের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং এটি ছিল ব্যক্তিগত গবেষণার ভিত্তিতে লেখা।
মামলার শুনানির শুরু থেকেই বিচারক ক্যারেন স্টেইন একাধিকবার জানিয়েছেন যে, মামলার যথাযথ ভিত্তি নেই। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেন, “এই মামলা ব্যর্থ হওয়ার পথে রয়েছে।” শেষপর্যন্ত আদালতের চূড়ান্ত রায়ে ট্রাম্পের মামলা খারিজ করে তাকে বিপুল অঙ্কের জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই মামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত অবস্থান এবং তার বিরুদ্ধে থাকা নানা অভিযোগ আবারও আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, এবং তথ্য সুরক্ষা আইন ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।