ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও যাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল মুহিত (২৯) – মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রাম, মো. সবুজ (৩০) – শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রাম, শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮) – ঢাকার সাভারের টান গেন্ডা এলাকা। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা ও সাভার মডেল থানায় দুটি বাস ডাকাতি মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এসপি মিজানুর রহমান জানান, সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি এবং ২৯,৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, “ঘটনাটি বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকায় অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। অপর অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এএসআই আতিকুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত – মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতিকুজ্জামানকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি থানার ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ যথাযথভাবে গ্রহণ করেননি।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি প্রত্যাহার – ঘটনার অভিযোগ না নেওয়া ও তথ্য গোপনের চেষ্টার কারণে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা-রাজশাহী রুটের চলন্ত বাসে এই ঘটনা ঘটে। বাসের যাত্রী ওমর আলী শুক্রবার সকালে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাত ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, “বাসে নারী যাত্রীদের ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে দায় স্বীকার করেছে।”