উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মাঠের পর মাঠ জুড়ে বিস্তৃত তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আগাম জাতের তরমুজ, যা চাষিদের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। কৃষি বিভাগের মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার তরমুজ চাষিরা সাত থেকে আট কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন, যা কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে।
চলতি বছর দশমিনার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের তরমুজসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৫ হেক্টর বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা তরমুজ ক্রয়ের জন্য আসতে শুরু করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় ৫ কেজি হয়েছে।
উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিসা খালী গ্রামের তরমুজ চাষি মো. তৈয়বুর রহমান জানান, তিনি এ বছর চার একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। ফল আসা পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন, যা তাকে লাভবান করবে।
একই গ্রামের আরেক চাষি মো. জালাল মৃধা জানান, তিনি তিন একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন এবং তার ক্ষেতেও ভালো ফলন এসেছে। বর্তমানে প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় ৫ কেজি হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশাবাদী তিনি।
দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, “উপযুক্ত মাটি, অনুকূল আবহাওয়া এবং লাভজনক হওয়ায় এ বছর তরমুজ চাষ বেড়েছে। আগাম জাতের তরমুজ চাষ বৃদ্ধির ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কৃষকদের নিয়মিত তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন, তদারকি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যা চলমান থাকবে।
তরমুজ চাষের এই সফলতা কৃষকদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনবে এবং দশমিনার কৃষি খাতকে আরও এগিয়ে নেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।