চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাত ও অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে দেশব্যাপী ২১৮টি টহল দল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, রাজধানীতে ৬৯টি এবং ঢাকার বাইরে ১৪৯টিসহ সারাদেশে মোট ২১৮টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বা পরিকল্পনাকারী, চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী ও অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে র্যাবের রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট স্থাপনসহ অভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল নাশকতা ও সহিংসতার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও আক্রমণ চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাব ফোর্সেস অভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করেছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে— দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি, যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ছিনতাইকারী, ডাকাত, উস্কানিদাতা, উগ্রবাদী ও নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ। ভার্চুয়াল জগতে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিমের সার্বক্ষণিক নজরদারি। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত অপরাধের সত্যতা যাচাই করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা। সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা এবং যেকোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে স্থানীয় র্যাব ব্যাটালিয়নকে অবহিত করা।
এছাড়া, র্যাব কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বর (মোবাইল: ০১৭৭৭৭২০০২৯)-এ যোগাযোগ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।