বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, গত ১৫ বছর ধরে পহেলা বৈশাখ তথা নববর্ষ পালন নিয়েও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সংস্কৃতি বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজধানীর পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী। ‘সতীর্থ স্বজন’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি নববর্ষ উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, “আগে পহেলা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এমনকি দাড়ি-টুপি নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে। গত ১৬ বছর ধরে আমাদের ভোটাধিকারের যে লড়াই, সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কোনো ধরনের টালবাহানা করা চলবে না।”
রিজভী আরও বলেন, “পহেলা বৈশাখে জাতির প্রধান আকাঙ্ক্ষা হলো—ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব ধরনের অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছেন।”
ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি তখন কারাগারে, বাইরে তুমুল আন্দোলন চলছে। পুলিশ বলছে, ‘গুলি করি একটা পড়ে যায়, আবার সেখানে এসে আরেকজন দাঁড়ায়’। এই উদ্দীপনার পেছনে আছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান, লেখা এবং অন্যান্য কবিদের প্রেরণাদায়ক রচনা।”
সংস্কার এবং গণতন্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভোটাধিকারকে সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেখা উচিত। গণতন্ত্র মানেই সংস্কার, এটি একটি প্রবাহমান খরস্রোতা নদীর মতো, যেখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো স্থান নেই।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, কবি রেজা স্টালিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন।