শেষ ওভারে দারুণ উত্তেজনার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলকে হতাশায় ডুবিয়ে দিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৫-এর মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। নেট রানরেটের হিসাবেই হাসলো টাইগ্রেসদের ভাগ্য, যদিও মাঠে দুর্দান্ত লড়াই করেছিল ক্যারিবীয় নারীরা।
থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং করে। বিশেষ করে অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস ও শ্যানেল হেনরি ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে।
তবে হিসাবটা ছিল অত্যন্ত সূক্ষ্ম— ১১তম ওভারের ৫ম বলে চার ও ৬ষ্ঠ বলে ছক্কা হাঁকাতে পারলেই তারা বিশ্বকাপে চলে যেত। কিন্তু যখন ৫ম বলে চার না হয়ে, ৬ষ্ঠ বলেই সরাসরি ছক্কা আসে, তখন জয়ের পরও নেট রানরেটে পিছিয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নেট রানরেটের হিসাব: বাংলাদেশ: +০.৬৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজ: +০.৬৩।
এই সামান্য ব্যবধানেই বাংলাদেশ নারী দল উঠে যায় মূলপর্বে, যা এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এই অর্জন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। কোয়ালিফায়ার পর্বে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিচক্ষণ বোলিং ও ব্যাটিং—সবই মিলিয়ে এই যোগ্যতাটা প্রাপ্য ছিল বাংলাদেশ নারী দলের।
ম্যাচ হাইলাইটস:
প্রতিপক্ষ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম থাইল্যান্ড
লক্ষ্য: ১৬৭ রান
সমাপ্তি: ১০.৫ ওভারেই জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই করতে হলে: ১১তম ওভারের ৫ম বলে চার ও ৬ষ্ঠ বলে ছক্কা দরকার ছিল
বাস্তবে যা হয়: ৫ম বলে রান হয়নি, ৬ষ্ঠ বলে ছক্কা—ফলে জয় পেলেও বাদ