পটুয়াখালীতে এক কলেজছাত্রী ও এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে পৃথক দুটি ঘটনায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া দুই জনের মধ্যে একজন পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়া মনি আক্তার (১৮) এবং অন্যজন পটুয়াখালী পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল তৃষা বিশ্বাস (২২)। রিয়া মণি দশমিনা উপজেলার মনিরুল ইসলামের মেয়ে এবং তৃষা বিশ্বাস মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার আনন্দ বৈদ্যের স্ত্রী।
পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ জানান, সকাল নয়টার দিকে রিয়া মণির রুমমেটরা নাশতা করতে হোস্টেলের কক্ষ থেকে ডাইনিংয়ে যান। সাড়ে নয়টার দিকে ফিরে এসে তারা বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রিয়া মণিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নাহিয়ান নামে এক যুবক রিয়া মণিকে নিজের স্ত্রী দাবি করলে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, তৃষা বিশ্বাস পটুয়াখালী পুলিশ লাইনসের তৃতীয় তলার ৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। রোববার সকালে দায়িত্বে না গেলে তার সহকর্মী ইতি রানী মালো ডাকতে গিয়ে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলতে দেখেন।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নুরুল আক্তার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসানের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ জানান, তৃষা বিশ্বাসের মৃত্যু প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুটি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিয়া মণির ঘটনায় নাহিয়ান নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দুই ঘটনায় পুরো এলাকা শোকাহত ও বিভ্রান্ত। পুলিশের তদন্ত শেষ হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।