ঢাকাই সিনেমার আলোচিত দুই নায়িকা পরীমণি ও শবনম বুবলীর মধ্যকার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সন্তানদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হওয়া এই লড়াইয়ে পারিবারিক বিষয়ও উঠে এসেছে। পরীমণি সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন।
পরীমণির অভিযোগ ছিল, তার সন্তানের একটি ভিডিও কনসেপ্ট নকল করে বুবলী তার সন্তানের জন্য ব্যবহার করেছেন। বুবলী এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন। তবে তাদের এই লড়াইয়ে বুবলীর বড় বোন, গায়িকা নাজনীন মিমির কিছু মন্তব্যে পরিস্থিতি আরও তিক্ত হয়ে ওঠে।
পরীমণি এ প্রসঙ্গে বলেন, “বুবলীর বোনের বাজে মন্তব্য আমাকে আঘাত করেছে। যার সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে, তারই আমাকে বলা উচিত ছিল। পরিবারকে টানার কোনো অর্থ নেই। আমার সত্যিটাই আমার শক্তি।”
পরীমণির মতে, এই সমস্যার সমাধান হতে পারত আলোচনার মাধ্যমে। তিনি বলেন, “আপনি (বুবলী) আমাকে ডাকতে পারতেন—‘আসো তো পরী, কী হয়েছে? চলো বসি।’ কিন্তু তা না করে পরিবার নিয়ে আমার গলা চেপে ধরা হয়েছে।”
পরীমণি আরও জানান, তিনি বুবলীর কর্মকাণ্ড সরাসরি নজরদারি করেননি। বরং শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাধ্যমে বিষয়গুলো তার কাছে পৌঁছেছে।
এই দ্বন্দ্বে অপু বিশ্বাসের ভূমিকা নিয়েও নানা গুঞ্জন ছিল। অনেকে মনে করেছিলেন, অপু বিশ্বাস ইন্ধন দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, “অপুদির সঙ্গে আমার খুব খাতির নেই। রান্না খেতে যাওয়ার মতো সম্পর্কও না। তবে আমি অপুদিকে ভালোবাসি। তিনি আমাকে কতটা পছন্দ করেন, সেটা মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না।”
পরীমণি বলেন, তার সত্য কথা বলার সাহসই তার শক্তি। পরিবার বা অন্য কাউকে টেনে আনার পক্ষপাতী নন তিনি। তিনি চান শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান হোক।
ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের মধ্যকার এই ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নানা সময়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে পরীমণির এই বক্তব্য বিষয়টিকে নতুন মোড় দিয়েছে। দুই নায়িকার সম্পর্কের এই তিক্ততা সিনেমার জগতে তাদের ভবিষ্যৎ পারস্পরিক সহযোগিতায় কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।