কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) থেকে এবার পাওয়া গেছে মোট ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে স্বর্ণ, রূপা এবং বৈদেশিক মুদ্রাও। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী টাকা গণনার পর সন্ধ্যায় এই হিসাব প্রকাশ করা হয়।
শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স এবং ২টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনার কাজ, যা দিনব্যাপী চলার পর সন্ধ্যায় শেষ হয়।
টাকা গণনার সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
গণনার কাজে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত, রূপালী ব্যাংকের এজিএম রফিকুল ইসলামসহ ব্যাংকের ৭৫ জন কর্মী। ২৮৫ জন মাদরাসার ছাত্র এবং মসজিদ কমিটির ৩৪ জন। ১৬ জন পুলিশ সদস্য, ৯ জন আনসার সদস্য এবং ১০ জন সেনা সদস্য।
গণনা ও নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন প্রশাসনের ৯ জন কর্মকর্তা। প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও সুরক্ষিত পরিবেশে সম্পন্ন হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও তিন মাস পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হলো। সবশেষ চলতি বছরের ১৭ আগস্ট দানবাক্স থেকে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এবার সেই অংক আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ টাকার বেশি।
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ দীর্ঘদিন ধরে দেশের অন্যতম বড় দান সংগ্রহের স্থান হিসেবে পরিচিত। এখানে দেশ-বিদেশের মানুষের দেওয়া দান নিয়মিতভাবে মসজিদের উন্নয়ন, দাতব্য কার্যক্রম এবং ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা হয়।
এবারের দানবাক্স থেকে সংগৃহীত টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী মসজিদের উন্নয়ন এবং দাতব্য কাজে ব্যয় করা হবে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। নিয়মিত দানের মাধ্যমে এই মসজিদ দেশের অন্যতম ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে তার ঐতিহ্য বজায় রেখেছে।