অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ২০০ কোটি টাকার বেশি যারা পাচার করেছেন, তাদের মধ্যে অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কিছু সেনসিটিভ কেসের (স্পর্শকাতর ব্যক্তিদের পাচার করা অর্থ) পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এই মন্তব্যটি তিনি সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে করেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার করা টাকা বিশাল অঙ্কের এবং এই টাকা ফেরত আনার জন্য তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ জন্য কিছু আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যেগুলো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জড়িত। তিনি জানান, আগামী মাসে এসব বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
পাচার করা অর্থ ফেরত আনার পদক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, পাচার করা টাকা বিশাল অঙ্কের এবং তার আইডেন্টিফাই ( শনাক্ত) করতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন দেশে আছেন এবং এখানে কিছু আইনি পদক্ষেপও রয়েছে, যা বিদেশের সঙ্গেও সম্পর্কিত। এসব পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তারা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে, পাচার করা কয়েক শ’ কোটি ডলার ফেরত আনার সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, এটি সম্ভব। ২০০ কোটি টাকার ওপরে যারা পাচার করেছেন, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আশা করা যায়, সব মিলিয়ে আমরা এই অর্থ ফেরত আনতে পারব।”
অর্থ উপদেষ্টার এই বক্তব্যের মাধ্যমে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগে সরকারের দৃঢ় অবস্থান প্রতিফলিত হচ্ছে এবং এসব পদক্ষেপের ফলে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।