পাঠানটুলির দক্ষিণ এনায়েতনগর মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী একত্রে সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মাদকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এলাকাবাসী পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন।
এলাকাবাসীর মতে, উদ্যোগটি সমাজে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার রাত ১০:৩০ মিনিটে দক্ষিণ এনায়েতনগরের বিভিন্ন সড়কে এলাকাবাসীকে পাহারা দিতে দেখা যায়। এই মহৎ উদ্যোগে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. সফর আলী ভূঁইয়া, জনাব মো. বিল্লাল মীর, মো. কাসেম মিয়া (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ), জনাব মো. কাদির মিয়া, এবং আরও অনেকেই।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা তাদের শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দাবি, মাদক এবং কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা বন্ধে এই উদ্যোগ যেন দীর্ঘমেয়াদে চালু থাকে এবং আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এলাকাবাসী চান, এই মহৎ কাজের ধারাবাহিকতা যেন কোনো অবস্থাতেই থেমে না যায়।
অপরাধীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টির জন্য এলাকাবাসী আরও তৎপরতা এবং কঠোর নজরদারি আশা করছেন। এই উদ্যোগ যেন শুধু পাহারাদারিতেই সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং মাদকবিরোধী প্রচারণা, সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পাঠানটুলি দক্ষিণ এনায়েতনগর মসজিদ কমিটি এবং এলাকাবাসীর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সমাজ যখন অপরাধ ও অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তখন এমন উদ্যোগগুলো আলোর দিশারি হয়ে ওঠে। এলাকাবাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল নিশ্চিত করতে এলাকাবাসী ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় এবং উদ্যোগের ধারাবাহিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।