মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ধূসর গ্রামে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে টানা চারদিন ধরে অনশন করছেন এক কলেজ শিক্ষার্থী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় দ্বিতীয়বারের মতো তিনি এ অনশনে বসেছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই হাসানের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, চার বছর ধরে হাসানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে হাসান তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু কয়েক মাস আগে বিয়ের প্রসঙ্গ তুললে হাসানের মা রাজি হননি।
এরপর প্রথম দফায় বিয়ের দাবিতে হাসানের বাড়িতে অবস্থান নিলে স্থানীয়রা সমাধানের জন্য ৪০ দিনের সময় নেন। তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও বিয়ের কোনো খবর না আসায় শিক্ষার্থী আবারও হাসানের বাড়িতে ফিরে আসেন এবং বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অবস্থানের পর থেকে হাসানের মা ও বোন বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খবির উদ্দিন বলেন, “বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ৪০ দিনের সময় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ে না করায় মেয়েটি আবারও অবস্থান নিয়েছে।”
বিষয়টি নিয়ে কনস্টেবল হাসান আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শিবালয় থানার ওসি এআরএম আল মামুন বলেন, “এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, হাসান তাকে বিয়ে না করলে সামাজিকভাবে হেয় হতে হবে। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার অনশন চালিয়ে যাবেন। স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।