ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১৬ জন আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইরানুল ইসলাম এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতী ইউনিয়নের সলিথা এবং মীরাকান্দা গ্রাম দুটি কুমার নদ দ্বারা বিভক্ত। উত্তর পাড়ে সলিথা এবং দক্ষিণ পাড়ে মীরাকান্দা। সলিথা গ্রামে বিএনপির সমর্থক এবং মীরাকান্দায় আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আধিপত্য রয়েছে।
দীর্ঘদিনের বিবাদের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে সলিথা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে মীরাকান্দার এক তরুণের ওপর হামলার ঘটনা সংঘর্ষের সূত্রপাত করে। এর ফলে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার সকালে কুমার নদীর সেতু এলাকায় দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, সুরকি, রামদা এবং ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে নগরকান্দা থানার ওসি সফর আলীসহ ছয় পুলিশ সদস্য এবং আরও ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
ওসি সফর আলী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুটি গ্রামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। অভিযানে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আজ রোববার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান জানান, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
এ ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।