বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ‘বহিরাঙ্গন কার্যক্রম’ বিভাগ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুড়িচং উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কক্ষে ৪২ জন নারী ও পুরুষ কৃষকের অংশগ্রহণে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি, গুণগত সবজি চাষ, হাস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালনের পদ্ধতি ও কারিগরি বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হয়।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামশেদ আলম কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির গুরুত্ব ও এর সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর গুণগত সবজি চাষ এবং এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিণা আক্তার কৃষিক্ষেত্রে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়গুলো ব্যাখ্যা করেন। বুড়িচং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমান হাস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
কর্মশালার আগে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শেকৃবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, “বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের বহুমুখী চাষাবাদ এবং একই জমিতে একাধিক ফসল চাষ করতে হবে। এভাবেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার। অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক, শেকৃবি), ডা. মো. আবু রায়হান (বুড়িচং উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা), মোঃ আতিকুর রহমান (কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা)।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা কৃষকদের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করার পাশাপাশি কৃষি ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এতে অংশগ্রহণকারীরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি এবং উদ্যোক্তা হওয়ার দিকনির্দেশনা পেয়েছেন।