আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে (২০০৯-২০২৪) স্বাক্ষরিত বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি পর্যালোচনার জন্য আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থাকে যুক্ত করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই সুপারিশ পেশ করে। একইদিন দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ‘চিফ এডভাইজার (জিওবি)’ থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি চুক্তিগুলো আরও বিশ্লেষণ করার জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে। পর্যালোচনা কমিটি এমন প্রমাণ সংগ্রহ করছে, যা আন্তর্জাতিক সালিশি আইন এবং কার্যধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তি পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। কমিটি সুপারিশ করেছে যে, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ তদন্ত পরিচালনার জন্য একাধিক আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে যুক্ত করা হোক।
জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি বর্তমানে বেশ কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি তদন্ত করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চুক্তিগুলো হলো, আদানি (গোড্ডা) বিআইএফপিসিএল ১২৩৪.৪ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশুগঞ্জ ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র। মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস-এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি এই চুক্তিগুলোর বিস্তারিত তদন্ত শেষে আন্তর্জাতিক মানের আলোচনার মাধ্যমে এগুলো পর্যালোচনা ও প্রয়োজনে পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করবে। চুক্তিগুলো নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
সরকারি এই পদক্ষেপ বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।