গাজীপুর মহানগরের সারাবো এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। এতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট, ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শ্রমিকরা চক্রবর্তী এলাকায় সড়ক অবরোধ শুরু করেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম।
শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় প্রায় ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত কয়েক মাস ধরেই বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
আন্দোলনকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা প্রায় প্রতি মাসেই আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে বাধ্য হচ্ছেন। শ্রমিকরা বলেন,
“আমাদের প্রতি মাসেই আন্দোলন করে বেতন নিতে হচ্ছে। সময়মতো বেতন দিলে আমরা আন্দোলনে যেতাম না। এবারও বেতন না নিয়ে সড়ক ছাড়বো না। সড়ক বন্ধ না করলে কর্তৃপক্ষ ও সরকার আমাদের কথা বোঝার চেষ্টা করে না।”
সড়ক অবরোধের কারণে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহনগুলো বিকল্প পথ হিসেবে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ব্যবহার করছে। এতে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি বেড়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আন্দোলন চলার পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলেও রোববার সকাল থেকে পুনরায় তারা একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান,
“বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা তাদের অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। পুলিশ, প্রশাসন ও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করছে।”
শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। তবে শ্রমিকরা বকেয়া বেতন আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।