জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ১৭ বছর বয়সী তরুণদের ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “শিশু-কিশোর ও যুবকেরাই আমাদের নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। তাই তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়ে আমরা কিছুটা হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আমাদের দায় শোধ করতে পারি।”
রোববার রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত এক পথসভায় শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। তাঁর মতে, তরুণ সমাজ দেশের উন্নয়ন এবং পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে, তাই তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া উচিত।
শফিকুর রহমান আরো বলেন, “দেশকে আমরা সাজানো বাগান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটা দেশ গড়তে চাই যে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সকল ধর্মের, সকল বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে।”
তাছাড়া, জামায়াত আমির যোগ করেন, “চব্বিশের তরুণ যোদ্ধারা যে লক্ষ্য ও চেতনা নিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করেছে, তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের সফলতা নস্যাৎ করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচার।”
তিনি বলেন, “সর্বশেষ তারা সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র ধ্বংস করেছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে উপযুক্ত বিচার করতে হবে।”
পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, নীলফামারী জেলা আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফেজ আব্দুল মুনতাকিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রাজ কুমার পোদ্দার এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম।
এই সভাটি তরুণদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে জামায়াতের দৃঢ় অবস্থানকে তুলে ধরেছে, যেখানে তারা সমাজের সকল শ্রেণী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সমান অধিকার এবং সুযোগের পক্ষে।