রংপুর মহানগরীর একটি মাদ্রাসা থেকে সিয়াম ইসলাম (১১) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার বলছে, বলাৎকারের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নগরীর বকুলতলা জান্নাতবাগ মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাগরিবের নামাজের সময় সিয়াম নামাজে উপস্থিত না হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে বলাৎকারের পর সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহমান ও শিক্ষার্থী মোকলেছকে গ্রেপ্তার করেছে।
সিয়াম ইসলাম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বুজরুক ঝালাই গ্রামের কাঠমিস্ত্রী মনোয়ার হোসেন ভুট্টুর ছেলে। চলতি বছরের ৭ নভেম্বর সে বকুলতলা জান্নাতবাগ মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় ভর্তি হয়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় হতবাক। মাদ্রাসার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, “এমন ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”
নিহত সিয়ামের বাবা মনোয়ার হোসেন ভুট্টু বাদী হয়ে থানায় বলাৎকার ও হত্যার মামলা দায়ের করেছেন। ওসি আতাউর রহমান জানান, “এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা, সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।”
সিয়াম ইসলামের নির্মম মৃত্যু সমাজে শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এ ধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে শিশুদের সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়বে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের উচিত দ্রুত ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা।