চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে এসেছে ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) ২০ হাজার ২০৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে যথাক্রমে ১০০ কোটি ৫০ লাখ ও ১৩১ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে তুলনায় মার্চ মাসের প্রথমার্ধে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসীরা স্বজনদের কাছে বেশি পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন, যার ফলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চের প্রথম ১৫ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৫ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ডলার।
মার্চ মাসের ৯ থেকে ১৫ তারিখে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৮৪ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এর আগের সপ্তাহে, ২ থেকে ৮ মার্চ, দেশে এসেছে ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া, ১ মার্চ দেশে এসেছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
২০২৪ সালে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২,৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ডিসেম্বর মাসে, যা ছিল ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। জুন, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান প্রবাহ অব্যাহত থাকলে মার্চ মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসতে পারে। সরকারের রেমিট্যান্স নীতি, হুন্ডির বিপরীতে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর উৎসাহ ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বাড়তি রেমিট্যান্স প্রবাহ এই বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রেমিট্যান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী মাসগুলোতেও এই প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।