মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় মেয়েকে কটাক্ষের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এম এ বাক্কার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত এম এ বাক্কার উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া এলাকার বাসিন্দা এবং ব্রাহ্মণগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) উপজেলার সাতঘড়িয়া মোড় রাস্তার পাশে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহতের মেয়ে জথী জানান, মৃত সিদ্দিক রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমেদ ওরফে জামাল (৫০) তার সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলেন এবং খারাপ আচরণ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
জথী অভিযোগ করেন, হাতাহাতির সময় তোফায়েল আহমেদ ওরফে জামাল তার বাবাকে কিল, ঘুষি ও ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। পরে আহত অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ জানান, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসেনজিৎ জানান, এম এ বাক্কারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে কোনো গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, তবে হাঁটুর চামড়া উঠে যাওয়ার দাগ ছিল এবং তার মুখ বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অপেক্ষমাণ।
এম এ বাক্কারের পরিবার হত্যার ঘটনায় তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এ ঘটনার পর লৌহজং এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।