ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫: ঢাকা শহরের মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির কার্যকরী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং নতুন ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহাকে আহ্বায়ক এবং ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ মহসিন মিয়াকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সংগঠনের এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, পূর্ববর্তী কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। তবে আজকের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয় এবং সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
নতুন আহ্বায়ক কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি নির্বাচন আয়োজন করবে, যার মাধ্যমে একটি নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হবে।
নতুন কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হলেন, আহ্বায়ক: মিজানুর রহমান সিনহা, সদস্য সচিব: অ্যাডভোকেট মোঃ মহসিন মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক: মোঃ আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, মোঃ ফরহাদ রানা, সদস্যরা: অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সোহেল, মোঃ মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, মোঃ শহিদুল ইসলাম, বলরাম বাহাদুর, এ এস এম শাহাদাত হোসেন, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন নাসিম, মোঃ আরিফ উল ইসলাম, মোঃ রফিকুল ইসলাম মাসুম, মোঃ আইয়ুব আলী শিকদার, দেওয়ান মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ হোসেন রেনু, মোঃ নুরুল আমিন খান, মোঃ জসিম মোল্লাহ, মাহমুদ হাসান ফাহাদ, মোঃ শহীদুল্লাহ শেখ, মোহাম্মদ আরফিন, ডাঃ মোশারফ।
এছাড়া, একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ডাঃ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া। উপদেষ্টা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন: ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, লায়ন পারভীন হোসেন, মোঃ ওয়াদুদ খান।
এই নতুন কমিটি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটি গঠন করবে। অধ্যাপক ডাঃ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির সভাপতি, জানিয়েছেন যে নতুন কমিটি সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে একতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করবে এবং প্রয়োজনে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সংগঠন, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরবাসীর মধ্যে যোগাযোগ ও একতা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে সমিতি আরও শক্তিশালী এবং সক্রিয় হয়ে উঠবে, যা সমিতির সদস্যদের আরও উন্নত সেবা প্রদান করতে সহায়ক হবে।