ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশের বিরুদ্ধে মেট্রোরেলের চার কর্মীকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠার পর কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন মেট্রোরেলের কর্মীরা। তবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, মেট্রোরেল কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তাদের দাবিদাওয়া দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৯৫ শতাংশ স্টেশনে কর্মচারীরা স্বাভাবিক কাজ করছেন এবং সকাল থেকেই মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশের এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে দুজন নারী বিনা টিকিটে স্টেশনের সুইং গেইট ব্যবহার করে বের হতে চান। কর্মীরা পরিচয় জানতে চাইলে এমআরটি পুলিশের কর্মকর্তারা উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়ান। পরে পুলিশ সদস্যরা কর্মরত কর্মীর কাঁধে বন্দুক দিয়ে আঘাত করেন এবং এক কর্মীকে এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে মারধর করেন। এমনকি বন্দুক তাক করে গুলি করার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে উপস্থিত কর্মী ও যাত্রীরা তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মেট্রোরেল কর্মীরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—
রোববার রাতে কর্মীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করবেন এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তবে পুলিশের অভিযুক্ত এসআইকে প্রত্যাহার করার পর কর্মীরা কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
কর্মবিরতির কারণে সোমবার সকাল পর্যন্ত কিছু কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল, ফলে কিছু যাত্রী বিনা টিকিটেই যাতায়াত করেছেন। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে এবং সকাল ১০টার পর থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
এমআরটি পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ কেমন পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছেন সাধারণ যাত্রীরা।