1. hmonir19799@gmail.com : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. rtbdnews@gmail.com : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. info@www.rtbdnews.com : RT BD NEWS :
মোহাম্মদ রফি: শতাব্দীর সেরা গায়ক, কিংবদন্তির জন্ম শতবর্ষ - RT BD NEWS
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শাহবাগে খালেদা জিয়া এলে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বর্গীয় দৃশ্য হতো’—পিনাকী হামলার আশঙ্কায় ভারতজুড়ে নিরাপত্তা ২৪ বিমানবন্দর ও বন্দর স্থগিত ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ: দক্ষিণ এশিয়ায় বিপজ্জনক অধ্যায়ের সূচনা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় জমায়েত পাকিস্তানের আকাশসীমায় ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় নিরাপত্তা শঙ্কা, আইপিএল স্থগিত তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার জানে কী?: তারেক রহমান হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত রিপোর্ট ১২ মে জমা শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবরোধ, বিএনপির অনুপস্থিতি হত্যা মামলায় সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

মোহাম্মদ রফি: শতাব্দীর সেরা গায়ক, কিংবদন্তির জন্ম শতবর্ষ

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
মোহাম্মদ রফি

মোহাম্মদ রফি, হিন্দি সিনেমার প্লেব্যাক গানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। আজ ২৪ ডিসেম্বর, এই কিংবদন্তি শিল্পীর জন্ম শতবর্ষ। তাঁর অতুলনীয় কণ্ঠের মাধুর্য ও বহুমুখী প্রতিভা তাঁকে শুধুমাত্র বলিউড নয়, সারা বিশ্বের সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে অমর করে তুলেছে।

১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর জেলার কোটলা সুলতান সিং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ রফি। শৈশবে তাঁর ডাকনাম ছিল ফিকো। গ্রামের জীবনযাপনের মধ্যেই সংগীতের প্রতি তাঁর ভালোবাসা গড়ে ওঠে। এক ফকিরের ভজনগান শুনে ছোটবেলা থেকেই গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহী হন।

কিশোর রফি তাঁর বাবার সঙ্গে লাহোরে একটি ধাবা চালাতেন। পরে ভাইয়ের সেলুনে কাজ করতে গিয়ে গান গেয়ে গ্রাহকদের মনোরঞ্জন করতেন। তাঁর মিষ্টি কণ্ঠে আকৃষ্ট হয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি রফির গলার কথা আকাশবাণীর প্রধান জীবনলাল মাট্টুকে জানান। রেডিওতে অডিশন দিয়ে তিনি অনুমোদন পান এবং পাঞ্জাবি লোকগায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে একটি ঘটনায় তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। বিখ্যাত গায়ক কে এল সায়গলের একটি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সায়গল গান গাইতে অস্বীকৃতি জানান। তখন রফি খালি গলায় গান গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেন। সুরকার শ্যাম সুন্দর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং রফিকে নিজের সিনেমায় গান গাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র ‘গুল বালুচ’-এ জিনাত বেগমের সঙ্গে ‘সোনিয়ে নি হেরিয়ে নি’ গানের মাধ্যমে রফির সংগীতজীবনে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গাওয়ার সুযোগ পান তিনি।

১৯৪৪ সালে রফি মুম্বাইয়ে (তৎকালীন বোম্বে) আসেন। এখানে তিনি শাস্ত্রীয় সংগীতে ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খান, আবদুল ওয়াহিদ খান, পণ্ডিত জীবনলাল মাট্টু এবং ফিরোজ নিজামির কাছ থেকে তালিম নেন। ‘গাঁও কি গোরি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে তাঁর পথচলা শুরু হয়।

১৯৫০ থেকে ১৯৭০-এর দশক ছিল মোহাম্মদ রফির সংগীতজীবনের স্বর্ণযুগ। তিনি একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন। তাঁর মিষ্টি কণ্ঠ এবং বৈচিত্র্যময় গায়কী তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছিল। রোমান্টিক, দেশাত্মবোধক, ভক্তিগীতি থেকে শুরু করে কমেডি গানের সুরেও তিনি ছিলেন সমান দক্ষ।

২০০১ সালে ‘স্টারডাস্ট’ ম্যাগাজিনের পাঠক জরিপে শতাব্দীর সেরা গায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন রফি। ২০১৩ সালে সিএনএন-আইবিএন সমীক্ষায় তাঁকে হিন্দি সিনেমার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী বলা হয়।

মোহাম্মদ রফি সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় কথা প্রচলিত আছে, তিনি গাইতেন কম, কাঁদতেন বেশি। তাঁর গানে যে আবেগ প্রকাশ পেত, তা শ্রোতাদের হৃদয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলত। তাঁর কণ্ঠে যেমন ছিল কোমল মাধুর্য, তেমনি ছিল শাস্ত্রীয় সংগীতে গভীর দক্ষতা।

রফি শচীন দেব বর্মণ, রাহুল দেব বর্মণ, শংকর-জয়কিশান, নওশাদ, লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল প্রমুখের মতো কিংবদন্তি সংগীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘ইয়ে রেশমি জুলফে,’ ‘চাহুঙ্গা মেই তুঝে,’ ‘অভি না যাও ছোড় কার,’ এবং ‘বাহারোঁ ফুল বারসাও।’

১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই মোহাম্মদ রফি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু তাঁর গান আজও জীবিত। বলিউডের ইতিহাসে মোহাম্মদ রফি এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছেন। তাঁর কণ্ঠ যুগ যুগ ধরে সংগীতপ্রেমীদের অনুপ্রাণিত করে যাবে।

মোহাম্মদ রফি শুধুমাত্র এক গায়ক ছিলেন না; তিনি ছিলেন আবেগ, ভালোবাসা এবং সংগীতের প্রতীক। তাঁর মতো একজন শিল্পী যুগে যুগে একবারই আসে। আজ তাঁর জন্ম শতবর্ষে, আমরা তাঁর সুরেলা কণ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট