যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাপূর্ণ ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ বা আইডব্লিউওসি) পুরস্কার পাচ্ছেন গত বছরের জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সাহসী নারী শিক্ষার্থীরা। এই পুরস্কারের অংশ হিসেবে তাদের ‘ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৩১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানান, সাহসী নারী শিক্ষার্থীদের এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে কারণ তারা শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাহসী নারী শিক্ষার্থীরা এই পুরস্কার পাচ্ছেন, যা তাদের অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি। তবে বাংলাদেশের রাজনীতির প্রকৃতি সম্পর্কিত প্রশ্নের ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এই আয়োজনের নেতৃত্ব দেবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।
ট্যামি ব্রুস জানান, ২০২৫ সালের আইডব্লিউওসি পুরস্কারে আটজন অসাধারণ নারীকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মনোনীত সাহসী নারীরা এই সম্মানজনক পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ৯০টিরও বেশি দেশের ২০০ জনেরও বেশি নারীকে আইডব্লিউওসি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। প্রতিটি দেশের মার্কিন কূটনৈতিক মিশন তাদের নিজ নিজ অবস্থানের একজন সাহসী নারীকে মনোনীত করে এবং পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করবেন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে অতিরিক্ত প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নের কৌশল নিয়ে কাজ করবেন।
এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জনের জন্য ইতোমধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহসী নারী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই স্বীকৃতি তাদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যতে নারীদের জন্য আরও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।