ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যমুনা সেতুর ওপর একাধিক দুর্ঘটনা, বিকল যানবাহন এবং অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে যমুনা সেতু পূর্ব পাড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঢাকা–টাঙ্গাইল–যমুনা সেতু মহাসড়কের যাত্রীদের দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। রাতের বেলাতেই সেতুর ওপর তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে এবং দুটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। বিকল গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে সময় লাগায় যানজটের মাত্রা বেড়ে যায়।
যানজট নিরসনে সেতু কর্তৃপক্ষ রাত এবং আজ রোববার সকালে ঢাকাগামী লেন বন্ধ রেখে একযোগে ১৮টি বুথের মাধ্যমে উত্তরগামী যানবাহন পারাপার করে। এতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও যানজট পুরোপুরি নিরসন সম্ভব হয়নি।
যানজট নিরসনে পুলিশও নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার কাজ সময়সাপেক্ষ হওয়ায় যানজট তৈরি হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের চাপ কমে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে মোট ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে মোট ৩ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ রুবেল জানান, রাত ও সকাল থেকে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং যানজট দ্রুত নিরসনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঈদযাত্রায় উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা যমুনা সেতুর যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। যদিও কর্তৃপক্ষ যানজট নিরসনে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তবুও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করা কঠিন হয়ে পড়ছে।