শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠের বটতলায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। এ সময় তিনি পঞ্চগড়সহ পুরো রংপুর বিভাগের অবহেলার কথা তুলে ধরেন এবং উন্নয়নের অঙ্গীকার করেন।
সারজিস আলম বলেন, গত ১৬ বছরে রংপুর বিভাগে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “এখানে কয়েকটি রাস্তা ছাড়া কিছুই হয়নি। কোনো শিল্পকারখানা বা বড় ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হয়নি।” তিনি পঞ্চগড়ের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, “সৃষ্টিকর্তা আমাদের সুযোগ দিয়েছেন, এটি আমানত। মানুষের জন্য যা কিছু করা সম্ভব, সেটি লিগ্যালি এবং লজিক্যালি করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আমি নেতা নই, আপনাদেরই সন্তান। পঞ্চগড় নিয়ে অনেক স্বপ্ন ও ইচ্ছা আছে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির পরিকল্পনা তুলে ধরে সারজিস আলম বলেন, প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়নে প্রতিনিধি নিযুক্ত করা হবে। কোনো অন্যায় হলে বা কারও হয়রানির শিকার হলে তাদের জানাতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে অন্যায়কারী প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারজিস আলম আরও বলেন, “মানুষের ক্ষমতা ও অর্থ ক্ষণস্থায়ী। তবে কেউ যদি কিছু ভালো কাজ করে যায়, সেটি শত বছর ধরে মানুষের মনে থাকে। টাকায় মান-সম্মান কেনা যায় না। মানুষের স্নেহ ও ভালোবাসাই আসল।”
অনুষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। সারজিস আলম বলেন, “অনেক বিত্তবান ব্যক্তি ও পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের সদিচ্ছা প্রয়োজন। তাঁরা শীতবস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত।” এসব শীতবস্ত্র পঞ্চগড়ের প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় জেলা ও পৌর বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস আলমের বক্তব্যে মানবিকতা, উন্নয়ন ও সেবার অঙ্গীকার এবং পঞ্চগড়ের মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ স্পষ্ট। তিনি স্থানীয় জনগণের জন্য নতুন আশার আলো দেখিয়েছেন।