বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রথম প্রহরে রাজধানীর রমনা বটমূলে জমে ওঠে বর্ষবরণ উৎসবের মিলনমেলা। বর্ণাঢ্য আয়োজনে শামিল হন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সকালেই বর্ষবরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে এসে তিনি বলেন, “দেশ থেকে অমঙ্গল ইতোমধ্যে দূর হয়ে গেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে চেষ্টা করছি। যেটুকু অশুভ আছে, তাও দূর হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ রমনা বটমূলে সবার মিলনমেলা। আমরা সবাই সকাল থেকেই খুব আনন্দে আছি। একটা ‘নতুন’ নববর্ষকে বরণ করছি।”
নববর্ষের বৈচিত্র্যময়তা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, “আমাদের এবারের নববর্ষে প্রত্যাশা ছিল—সব জাতি-গোষ্ঠী, পাহাড়ি ও সমতলের ভাই-বোনেরা একসঙ্গে নববর্ষ পালন করবেন। তারা বিজু, বৈসু, সাংগ্রাই করেছেন; আমরা বৈশাখ করছি। একসঙ্গে সবাই মিলে বর্ষবরণ করছি নির্মল পরিবেশে।”
তিনি জানান, সকাল ৬টা থেকেই রমনায় চলছে সংগীত, কবিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। “আমরা আশা করি, বাংলাদেশের অশুভতা দূর হবে, জরা কেটে যাবে, দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।”
এছাড়াও, ফেসবুকে নিজের এক পোস্টে মজার ছলে তিনি লিখেছেন, “আপা তার ওয়াদা রাখলেন, ফিরে আসলেন আরও ভয়ংকর রূপে!”
নববর্ষ উপলক্ষে চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হওয়া বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ঘুরে ফিরে আবার চারুকলায় এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় দেখা যায় নানা রকম মুখোশ, রঙিন শিল্পকর্ম ও ফ্যাসিস্ট প্রতিকৃতির প্রতীক। শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ভরে ওঠে উৎসবের আবহে।
শোভাযাত্রায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, শিল্পী, শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মীসহ নানা শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে সারাদেশের মতো রাজধানীজুড়েও ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।