রাজশাহী নগরের ছোট বনগ্রাম এলাকার ‘মরণ রাস্তার’ মোড়সহ আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে থাকা বালু সরানোর কাজ শুরু করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চৌদ্দপায় বিহাস এলাকা থেকে আলিফ লাম–মিম ভাটা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়ক দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল করে। ট্রাক থেকে উড়ে আসা বালু সড়কের বিভিন্ন জায়গায় স্তূপ জমিয়ে তোলে, যার কারণে যানবাহন স্লিপ করে দুর্ঘটনা ঘটে।
‘বারো রাস্তার মোড়’ নামে পরিচিত ছোট বনগ্রাম এলাকার একটি মোড়ে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী একে ‘মরণ রাস্তার’ মোড় বলেও উল্লেখ করেন। গত এক মাসে এখানে অন্তত ১০টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুরনজিত মহলদার এই মোড়ে বালুতে স্লিপ করে দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যাচ্ছিলেন। বালুতে স্লিপ খেয়ে পড়ে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
‘মরণ রাস্তার’ মোড়ে দুর্ঘটনা রোধে এলাকাবাসী দ্রুত গোলচত্বর স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। গত শুক্রবার তাঁরা মানববন্ধন করেন এবং দুর্ঘটনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলিয়ে দাবি জানান।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা চৌদ্দপায় বিহাস এলাকা থেকে সড়কের বালু সরানোর কাজ শুরু করেছেন। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা শাখার সুপারভাইজার মো. কামরুল জানান, জনবলের ঘাটতির কারণে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে এখন থেকে নিয়মিত সড়ক পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান শেখ মো. মামুন (ডলার) জানান, পরিবেশ শাখার কর্মীদের এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তাঁরা বৃক্ষরোপণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে যুক্ত ছিলেন। এখন থেকে সড়ক পরিষ্কার রাখার কাজ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে সড়কের বালু সরানোর পাশাপাশি যানবাহন থেকে বালু না পড়ার বিষয়েও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।