২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানসহ বেশ কয়েকটি মামলায় খালাস পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবাসের পর বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পর তিনি এখন নিজ এলাকায় ফিরে আসতে উদগ্রীব।
লুৎফুজ্জামানের স্ত্রী তাহমিনা জামান বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলায় তার দুঃখ কষ্ট দেখেছি। উচ্চ আদালত তার নিরপরাধ প্রমাণ করেছে, তাই মুক্তি পেয়েছেন।’’ তার মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার বাসিন্দারা উল্লাসিত হয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা, তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, রুহুল কবির রিজভী, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী ও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
লুৎফুজ্জামান বাবর গ্রামে ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছেন, এবং তার এলাকা তাঁকে বরণ করতে প্রস্তুত। নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া লুৎফুজ্জামান বাবর তার কর্মময় জীবনে এলাকায় বহু মানুষের জন্য সহায়তা দিয়েছেন। তার মুক্তি উপলক্ষে হাজার হাজার সমর্থক তাঁকে স্বাগত জানাতে কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, লুৎফুজ্জামান বাবরের জনপ্রিয়তা এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা বার বার প্রকাশ পেয়েছে, যেহেতু তিনি কখনো দলের affiliation দেখে মানুষের মধ্যে সাহায্য-সহযোগিতা করেননি। এমনকি তাঁকে বরণ করতে নেত্রকোনা জেলাবাসী নানা তোরণ ও ফেস্টুন দিয়ে সাজিয়েছে। স্থানীয় জনগণের মত অনুযায়ী, তিনি একজন জননন্দিত নেতা, যিনি অতীতেও এলাকার জনগণের জন্য বহু কল্যাণকর কাজ করেছেন।
এখন, লুৎফুজ্জামান বাবর মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি এলাকায় ফিরলে তাঁর উপস্থিতি এলাকার মানুষের মধ্যে আরো উল্লাস সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।