চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে অনৈতিকভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করে মনগড়া বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০২3 সালের ১৬ জুলাই নিপুণ আক্তার শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে একটি বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি নিজেকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর ১৭ জুলাই নিজের ফেসবুক ওয়ালে বিবৃতিটি পোস্ট করেন। এ ঘটনায় তাকে নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়।
শিল্পী সমিতির মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটি গত বছরের ৩০ জুলাই ষষ্ঠ সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে। সেখানে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও নিপুণ সেটি তোয়াক্কা করেননি। এর আগে, সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে গণমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ করা হয়, তিনি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করেছেন।
তবে, আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় নিপুণ কোনো চিঠিকেই আমলে নেননি। বরং তিনি তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। এসব কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে শিল্পী সমিতির প্যাডের অনৈতিক ব্যবহার এবং সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য তাকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব বলেন, “এটি সত্য যে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
তবে, এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার আজীবন বহিষ্কার, সমিতির প্যাড ব্যবহার ও বিতর্কিত মন্তব্য, নিপুণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, শিল্পী সমিতি থেকে চিরতরে বাদ নিপুণ আক্তার।